থানকুনি
আমাশয় একটি কমন রোগ, যেটাতে সবাই কমবেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। এর থেকে
পরিত্রান পেতে চাইলে জেনে আসতে পারেন।“থানকুনি” অনেকে নামটা শুনেছেন কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে সকলে হয়তো অবগত নন। আজকে আমি আপনাদের কে আশ্চর্য এই উদ্ভিতটির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিব। তো আসুন শুরু করা যাক।
আপনি যদি একজন গাছগাছালি অথবা ভেষজ উদ্ভিদ প্রেমী হন তাহলে আপনি অবশ্যই থানকুনি সম্পর্কে জেনে থাকবেন।
থানকুনি একটি লতা জাতীয় গাছ। সাধারণত এটি স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় বেড়ে ওঠে।
গাছের ধরনঃ
একটি ডাটার উপরে একটি পাতা হিসাবে হয়ে থাকে। ডাটার দৈর্ঘ ২-৮ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
একটি নির্দিষ্ট জায়গাতে আপনি যদি এর একটা শিকড় অথবা এর গোড়া কিংবা এর যে ফুল হয় সেখান থেকে বীজ নিয়ে চাইলে থানকুনি এর চাষ করতে পারেন।
এর সব থেকে বড় সুবিধা হচ্ছে ,এটি ঔষধ হিসাবে কাজ করে থাকে।
আপনি যদি থানকুনি গাছ রস করে সেই রস খালি পেটে কিছুদিন সেবন করেন, তাহলে আপনি পেতে পারেন।
তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য রোগ গুলিঃ
মুখে অরুচি,
খাবারে অনীহা,
আমাশয়, রক্ত আমাশয় ,
গ্যাস্ট্রিক ,
আলসার ,
পেপটিক আলসার সহ ইত্যাদি পাকস্থলী সংক্রান্ত রোগ থেকে আপনি নিস্তার পাবেন।
আমাদের বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই এই গাছটিকে চেনেন না হয়ত, কিন্তু আপনি আপনাদের বাড়ীর মুরুব্বিদের কাছ থেকে শুনে থাকবেন , এখান থেকে ২০/৩০ বছর আগে যখন এত ওষুধের প্রচলন ছিল না তখন এই সমস্ত রোগের জন্য মানুষ থানকুনি পাতাই ব্যবহার করতেন।
এর স্বাদ হালকা নোনতা , কষা কষা বা হালকা তিতা টাইপের হয়ে থাকে। একেকজনের কাছে এর স্বাদ একেকরকম মনে হয়।
তবে এটি খেতে খারাপ নয় । আপনি চাইলে এটি খেতে পারেন। গ্রাম অঞ্চলে এখনো পর্যন্ত এটি বিভিন্ন জায়গাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়।
যেখান থেকে গ্রামের লোক জনেরা এটি তরকারি হিসাবেও খেয়ে থাকেন অথবা বিভিন্ন রোগের কারণে ব্যবহার করে থাকেন।
কেউ কেউ বলেন এটি চুলের জন্য খুব উপকারী । এটি যদি কেউ ব্যবহার করে অর্থাৎ বেটে মাথায় দেয় অথবা তেলের সাথে ব্যবহার করে তাহলে এর থেকে অনেক উপকার লাভ করে।
কয়েকটি উপকারের কথা উল্লেখ করা হলোঃ
মাথার খুশকি দূর হয় এতে
মাথা ঠান্ডা করে
মাথায় ব্যথা থাকলে তা নির্মূল হয় ইত্যাদি।
তা ছাড়াও আরও অনেক গুণাগুণ রয়েছে, আপনি চাইলে থানকুনি পাতা বিভিন্ন ভাবে খেতে পারেন। নিম্মে কয়েকটি পদ্ধতি উল্লেখ করা হলোঃ
কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন
বেটে রস করে খেতে পারেন
হালকা তেল দিয়ে পেঁয়াজ রসুন দিয়ে রান্না করে খেতে পারেন
সরষে ফোড়ন দিয়ে খেতে পারেন
খুব কড়া না করে হালকা ভাবে আলু দিয়ে পাতলা ঝোল রান্না করে খেতে পারেন
থানকুনি পাতার বড়া ভেঁজে খেতে পারেন
থানকুনি পাতার বড়া ভেঁজে সেটা আবার ঝোল রান্না করেও খেতে পারেন।
এটি পেটের জন্য খুব উপকারী হয়।
আপনি চাইলে আপনার বাড়ির আশেপাশে থানকুনি চাষ করতে পারেন।
তো আজকে এই পর্যন্তই। অন্য কোন দিন না হয় আবার থানকুনি নিয়ে কিছু লেখালেখি করব
এইরকম পোস্ট পেতে বা স্বাস্থ বিষয়ক তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট টি সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন অথবা ভিজিট করতে পারেন, Ajker Pata 21
ধন্যবাদ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন