আমলকি
এই ফলগুলো বিভিন্ন রোগের জন্য ঔষধ হিসেবে কাজ করে। আমরা আজকে জানবো কিভাবে ত্রিফলা দিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা হয়ঃ
আমলকী আসলে রুচি বর্ধকঃ
যদি কখনো আপনি দেখেন আপনার মুখে কোন ধরনের খাবারের প্রতি রুচি নেই, তবে সে ক্ষেত্রে আপনি ত্রিফলা অথবা শুধুমাত্র আমলকি খেতে পারেন। এতে আপনার মুখে রুচি ফিরে আসবে এবং সবকিছু আপনি খেতে পারবেন।
এই আমলকি শুধু মানুষের মুখে রুচি বাড়ায় না। এটা মানুষের ত্বক উজ্জল করতে সহায়ক হয়ে থাকে, কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ।
এছাড়াও আরো অনেক পুষ্টিগুণ এ ফলের মধ্যে বিদ্যমান।
চুল পড়া রোগীর মহাঔষধ আমলকীঃ
আপনি যদি চুল পড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে আমলকি হতে পারে আপনার জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ। কারণ মাথার চুলের যে তক রয়েছে আর যে হরমোন রয়েছে, সেই হরমন বৃদ্ধি করার জন্য ও স্বাস্থবান করার জন্য আমলকির গুরুত্ব অপরিসীম। আমলকি যেমনিভাবে মানুষের মুখের রুচি বাড়ায়, ঠিক তেমনিভাবে শরীরের বিভিন্ন হরমোনও জোগাড় করে সাথে ত্বকের রুচিও জোগাড় করে।
আপনি আমলকি চুলে যদি ব্যবহার করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি প্রথমে কিছু তেল নিবেন। হতে পারে সেটা নারিকেল তেল অথবা হতে পারে সেটা সরষের তেল। সেই তেলে আপনি এই আমলকি ভিজিয়ে দিয়ে সেটিকে অনবরত জাল করতে পারেন নির্দিষ্ট সময় ধরে এবং পরে এই তেলটা ঠান্ডা হয়ে গেলে আপনি বোতলজাত করে দীর্ঘদিন পর্যন্ত মাথায় ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি এটি ব্যাবহার শুরু করার মাত্র এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই এর ফলাফল আপনি বুঝতে পারবেন।
আপনি যদি দীর্ঘদিন যাবত গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য একটি উত্তম উৎকৃষ্ট ঔষধ হিসেবে কাজ করতে পারে।
রাতে যখন ঘুমাতে যাবেন, ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে আমলকি কিছুটা থেঁতলে নিয়ে এক গ্লাস পানিতে আপনি ভিজিয়ে রাখতে পারেন এবং মুখটা ঢেকে রাখবেন।
সকালে ভোরে বাসি পেটে আপনি এই পানি খালি পেটে যদি পান করেন, সেক্ষেত্রে আপনি দেখবেন আপনার গ্যাসের সমস্যা অনেকটাই কমে গেছে। আপনি গ্যাস্ট্রিক , আলসার সহ এই ধরনের জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত থাকলে এই পদ্ধতিটি ফলো করতে পারেন।
আমাদের দেশে এইরকম নানান প্রজাতির ফল রয়েছে যে গুলোকে আমরা প্রাধান্য না দিয়ে আমরা ঔষধের দিকে ধাবিত হই যা একদম অনুচিত। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঔষধের চেয়ে ক্ষতিকর কোন বস্তু নেই তা আমদের সকলেরই জানা আছে। ভুল চিকিৎসা বা ভুল ঔষধে প্রতিদিনই আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বে বহু লোক মারা যাচ্ছে। তাই আমাদের উচিৎ ভেষজ চিকিৎসার দিকে মননিবেশ করা।
পরিশেষে আমলকির গুনাগুন এর কথা বলে শেষ করা সম্ভব নয়।
আজকে এই পর্যন্তই, আমরা অন্য একদিন দেখব আমলকী নিয়ে আরো কি কি করা যেতে পারে।
ধন্যবাদ সকলকে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন